ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের ওপর অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলার রায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে। ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া রায় পাঠ করবেন।
এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল গত ১৬ জানুয়ারি এবং সেই দিনই সম্রাটের জামিন বাতিল করে তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চালনার তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর সম্রাট আত্মগোপনে চলে যান। পরে ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে তাকে এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিনে র্যাব সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করে।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অভিযানের পর র্যাব জানিয়েছে, সম্রাটের অফিস থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়া হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে।
উক্ত দিনে রমনা থানায় র্যাব-১ এর ডেপুটি ডিরেক্টর আব্দুল খালেক অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর র্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মাদক মামলায় ৯ ডিসেম্বর এসআই আব্দুল হালিম অভিযোগপত্র দাখিল করেন, যেখানে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
মাদক মামলায় গত ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া গত ১৭ জুলাই আদালত সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন





