( নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করছে। তবে দেশের বাজারে স্বর্ণের দর বাড়তেই আছে। বর্তমানে এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনা অনেকের কাছেই এক বিকল্প হতে পারে। তবে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে হলে আগে থেকে জেনে নিতে হবে কতটুকু স্বর্ণ আনলে কর দিতে হবে না।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশ থেকে দেশে ফেরার সময় যাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণের গহনা শুল্ক ছাড়া আনতে পারেন। আবার চাইলে নির্ধারিত শুল্ক দিয়ে স্বর্ণের বার আনার সুযোগও রয়েছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী যাত্রীদের জন্য স্বর্ণ, রুপা এবং মোবাইল ফোন আনার নিয়ম শিথিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই নিয়ম অনুযায়ী, বছরে একবার কোনো যাত্রী সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণের অলংকার শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারবেন। যা ভরিতে হিসাব করলে প্রায় ৮ ভরি ১০ আনা হয়। একইভাবে, রুপার গহনা আনতে শুল্কমুক্ত সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত।
তবে স্বর্ণ বা রুপা—যেটিই হোক, একই ধরনের গহনা ১২টির বেশি আনতে দেওয়া হবে না। এর বেশি হলে অতিরিক্ত অংশের জন্য শুল্ক দিতে হবে।
নতুন নিয়মে আরও বলা হয়েছে, একজন যাত্রী চাইলে বছরে একবার ১০ তোলা ওজনের একটি সোনার বার আনতে পারবেন, তবে তোলাপ্রতি ৫ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে।
বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দরে ‘ব্যাগেজ ঘোষণা ফরম’ পূরণ করতে হয়। এতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর, কোন দেশ থেকে এসেছেন—এমন তথ্য দিতে হয়। শুল্কযোগ্য পণ্যের বিবরণও এতে উল্লেখ করতে হয়। তবে যদি কারও কাছে ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার গহনার কম থাকে, তাহলে এই ফরম পূরণ করার প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকলে যাত্রীরা ‘গ্রিন চ্যানেল’ ব্যবহার করে সরাসরি বিমানবন্দর ত্যাগ করতে পারবেন।
এদিকে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবার বেড়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, রোববার (১৯ অক্টোবর) স্বর্ণের দাম ভরিতে ১,০৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২২ ক্যারেট স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ভরি ২ লাখ ১৭ হাজার ৩৮২ টাকায়।
বাংলার চোখ নিউজ





