শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্লেসধারী ২০০ শিক্ষার্থীকে মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল জবি শাখা ছাত্রশিবির

আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি :

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষাবর্ষের ২০০ প্লেসধারী শিক্ষার্থীদের কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে জবি শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের প্রধম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা শিক্ষার্থীদের এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

 

আজ রবিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

জানা যায়, মেরিট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক, সার্টিফিকেট, মগ, কলমদানি, কুরআন, সিরাতগ্রন্থ, উত্তরীয়, নোটপ্যাড ও কলম উপহার দেওয়া হয়েছে।

 

অনুভূতি প্রকাশ করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, যে ছেলে ক্লাস ৬ ও ৭ এ ফেল করতাম। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে  চান্স পেয়ে আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাবো ভাবিনি। ছাত্রশিবির মেধাবীদের মূল্যায়ন করে। জবির সবাই মেধাবী আমাদের যে আল্লাহ বাছাই করেছেন আমাদের দায়িত্ব ও বেশি দিয়েছেন। আমরা যেন সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি সেটাই প্রত্যাশা করি।

 

এ সময় ইউনিভার্সিটি টিচারস্ লিংক, জবির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু লায়েক বলেন, এই ধরনের প্রোগ্রাম প্রশাসনের করা উচিত ছিল। স্বীকৃতি পেলে মানুষ আরও ভালো কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। টিকে থাকার জন্য চতুর্থ ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের সাথে মানিয়ে নেওয়া জরুরি।

 

বক্তব্যে নারী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা বলেন, ছাত্রশিবির ব্যতীত অন্য কাউকে মেরিট অ্যাওয়ার্ডের মতো প্রোগ্রাম করতে দেখেননি। তিনি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা এবং মেধাবীদের মূল্যায়নের ওপর জোর দেন।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, মতিউর রহমান মল্লিক সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ  তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আজ আমাদের এই অবস্থান নিয়ে অহংকার করা যাবে না। অহংকার মানুষকে পতনের দিকে নিয়ে যায়। এ সফলতার পেছনে মা-বাবা, পরিবার, আত্মীয় স্বজন, শিক্ষক সহ অনেকের সাপোর্ট রয়েছে। আপনাদের কাছে আমার বার্তা হলো, আপনারা সৎ থাকবেন। নিজেদের সৎ, দেশপ্রেমিক ও দক্ষতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলবেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জবি উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, বিগত ১৭ বছর মুসলিম পরিচয়ে হীনমন্যতায় থাকতে হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধর্ম ও মতের প্রোগ্রাম ও চর্চা চলবে এবং কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র হল-১ এর প্রভোস্ট মো. আসাদুজ্জামান সাদি, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আলী আফজাল, বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাখাওয়াত হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন