প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মোট ৯২ হাজার ৫০০ জন সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে ৯০ হাজার সেনা সদস্য এবং বাকিটা নৌবাহিনী। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় এক কোম্পানি করে মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা আগে এবং নির্বাচনের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতি স্থানীয় জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবক সম্পৃক্ত করে কীভাবে সামলানো যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম জানান, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রেস সচিবের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে নির্বাচনের অপপ্রচার হবে। দেশের ভেতর এবং বাইরে থেকে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন উপায়ে অপপ্রচার চালানো হবে। এআই ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এটি রুখতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে জনগণকে সচেতন করতে হবে। নির্বাচনের নীতিমালা ও নিয়ম, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কীভাবে 대응 করতে হবে—এসব বিষয়ে মানুষকে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও কালচারাল মিনিস্ট্রিককে আরও টিভি, ডকুমেন্টারি ও ভিডিও তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ বিষয়েও আলাপ হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বডি অর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং এর কার্যকর প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আনসার সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণ কার্যকরভাবে দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের ভিডিও ইসি ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
এছাড়া নির্বাচনের জন্য প্রবাসী ও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবার অন্যান্য তিনটি ক্যাটাগরির জন্য দ্রুত একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংসদ টিভি ব্যবহার করে নির্বাচন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল প্রচারেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।





