মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা বিতর্কিত উপদেষ্টাদের চলে যেতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে বিতর্ক থাকায় তাদের অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, তাই বর্তমান সরকারকে শিগগিরই কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের ভূমিকায় পরিচালিত হতে হবে।

 

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “একটি সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আশা করি ভালো পরিবর্তন আসবে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ যারা উপদেষ্টা আছেন, তাদের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে, তাদের সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে। কিন্তু কিছু লোকের আচরণের কারণে সেটি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই আমি বলছি, পুরোপুরি কেয়ারটেকার সরকারের মুডে যেতে হবে। যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে, তাদের চলে যেতে হবে। তারা থাকলে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ হলো পুরোপুরি নিরপেক্ষ থাকা। সরকারে যাদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের রেখে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব নয়। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।”

 

আমীর খসরু দাবি করেন, “বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগে প্রভাব ফেলেছেন। যাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বা যারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন কিংবা কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত, তাদের থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা ব্যাহত হবে। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নির্ধারিত আছে। এই সরকার আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় থাকবে, তাই তাদের কর্মকাণ্ডে সংবিধান অনুসরণ জরুরি। এখন তাদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।”

 

তিনি বলেন, “নিরপেক্ষতা হচ্ছে নির্বাচনের প্রথম শর্ত। এজন্যই আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি। নিরপেক্ষতা না থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং অশুভ শক্তি প্রবল হয়ে উঠবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন