শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তজুমদ্দিনে নৃশংস ধর্ষণ: অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্ম, সাংবাদিককে হুমকি ও গালাগাল

খন্দকার নিরব , ভোলা প্রতিনিধি :

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর মোজাম্মেল এলাকায় এক নারীর সঙ্গে নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) ভিকটিম কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

২৫ বছর বয়সী ভিকটিম জানান, প্রায় দুবছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী নুর হাফিজ (৪০) নানা অজুহাতে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন। সুযোগ পেয়ে তিনি জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। নিয়মিত নির্যাতনের একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাটি গোপন রাখতে অভিযুক্ত নুর হাফিজ তাকে চাপ প্রয়োগ করে নোয়াখালীতে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

ভিকটিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি তাকে মামা বলে ডাকতাম। অথচ সে আমার প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করেছে। ভয় দেখিয়ে আমাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। আমি এখন একা, তাই কেউ আমার পাশে দাঁড়াচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নুর হাফিজ একসময় জলদস্যু ছিলেন। বর্তমানে তিনি চর মোজাম্মেল এলাকার একজন প্রভাবশালী নেতা। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

ঘটনার সত্যতা জানতে ঢাকা এক্সপ্রেস ও দৈনিক আমার বার্তা ভোলা প্রতিনিধি খন্দকার নিরব ফোনে অভিযুক্ত নুর হাফিজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর তার পক্ষ থেকে তৈয়বুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফোন করে সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৈয়ব চর মোজাম্মেল এলাকার একটি সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য এবং নুর হাফিজের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

ভিকটিম ও স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, এই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রভাব খাটিয়ে এমন জঘন্য অপরাধের সাহস না পায়।

তজুমদ্দিন থানা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঘটনার বিস্তারিত যাচাই করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন