বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কশীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা 

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের “পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস” উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে  দিকে উপজেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে  মহুমহু  স্লোগানে মুখরিত করে বকশীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বকশীগঞ্জ পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল মতিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি মাওলানা আদেল ইবন আওয়ান (আরমান)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আলহাজ রাসেল মাহমুদ, বাট্টাজোড় ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আবু সাঈদ, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা সুলতান মাহমুদ, ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায়। লগি, বৈঠা, লাঠি, পিস্তল ও বোমা দিয়ে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা মানব সভ্যতার জন্য চরম লজ্জাজনক। আজও সেই বিভীষিকাময় ঘটনার স্মৃতি মনে পড়লে শিউরে ওঠে বিবেকবান মানুষ। তখন জাতিসংঘের মহাসচিবসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল, কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজও সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি।”

 

প্রধান অতিথি মাওলানা আদেল ইবন আওয়ান (আরমান) তাঁর বক্তব্যে বলেন, “গত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাদের ভয়ংকর দমননীতির কারণে আজ তাদের অনেক নেতা-কর্মী বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জনগণ এখন পরিবর্তনের অপেক্ষায়।”

 

বক্তারা আরও বলেন, “পল্টনের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে না। শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে ইসলামী আদর্শের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী জয়ী করতে হবে । বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন